রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঠিক উপায়
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
চুলের যত্নে কার্যকরী টিপস
স্নিগ্ধ মায়াবী চেহারার অধিকারী যে নারী। সব রূপেই নিজেকে দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলে সে.. নারীর রূপ প্রকাশ পায় তার সৌন্দর্য্যে আর ঠিক তেমনি সৌন্দর্য প্রকাশ পায় চুলে।
বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বিবাহের সময় বিবেচ্য বিষয় - ইমোশনালি প্র্যাক্টিক্যাল হবেন না, প্র্যাক্টিক্যালি ইমোশনাল হোন
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দুই মেয়েকে বিয়ে দেন মক্কার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির কাছে, অন্যদিকে তাঁর ছোটো মেয়েকে এমন একজনের সাথে বিয়ে দেন, যার মোহরানা দেবার মতো সামর্থ্য ছিলো না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন পাত্রদ্বয়ের সাথে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেন, যারা ছিলেন- দ্বীনদার, চরিত্রবান, জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ। ‘পাত্র ধনী কি-না’ এটা শর্ত ছিলো না। পাত্র যদি দ্বীনদার, চরিত্রবান, জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ হবার পাশাপাশি ধনী হয়, তাহলে তো নুরুন আলা নুর, ভালোর উপর ভালো।
আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ “তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।” [সূরা আন-নূরঃ ২৪:৩২]
সমাজ বলে ‘চাকরি না পেয়ে বিয়ে করবা কেন?’ বাবা-মা বলে, ‘বিয়ে করে বউকে কী খাওয়াবা?’ মেয়েপক্ষ বলে, ‘ছেলে সরকারি চাকরি করে কি-না?’ এগুলো বলে বিয়েকে সমাজে ‘লকডাউন’ করে রাখা হয়েছে। সবগুলো প্রশ্নের মূল প্রশ্ন একটাই- রিযিকের চিন্তা।
অথচ আল্লাহ বিয়ের ব্যাপারে ‘গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন- বিয়ে করো, রিযিক নিয়ে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই, অভাবী হলে আমি অভাবমুক্ত করবো (তাই বলে বিয়ে করে ঘরে বসে থাকবেন, আল্লাহ রিযিক দিয়ে দিবেন, এটাও না)।
সমাজের মুডকে আমরা ‘গড’ বানিয়ে নিয়েছি। সমাজের মুড যতোটা ইসলামের সাথে যায়, ততোটা মানছি। সমাজের যেই মুড ইসলামের সাথে যায় না, সেক্ষেত্রে আমরা ইসলাম ছেড়ে সমাজকে মানা শুরু করি। ক্রমে আমরা হয়ে উঠি সমাজপুজারী!
অভাবগ্রস্ত সাহাবী একজন আরেকজনের কাছে গিয়ে সাজেশন চাইতেন। “কী করবো বলো?” তখন একজন বলতেম, “তুমি কী বিয়ে করেছো?” উনি যদি ‘না’ বলতেন তাহলে উপদেশদাতা বলতেন, “তুমি বিয়েই করোনি, তাহলে তুমি অভাবমুক্ত হবে কিভাবে? তুমি কি কুর’আনে পড়োনি, অভাবমুক্ত হবার একটা উপায় হলো বিয়ে করা?” তারপর ঐ সাহাবী গিয়ে বিয়ে করতেন, দেখা যেতো কিছুদিন পর তিনি অভাবমুক্ত হয়ে যেতেন।
কিন্তু, আমাদের সমাজ শেখায়, আগে স্বচ্ছল হও, বউকে খাওয়ানোর মতো টাকা-পয়সা জমাও, তারপর বিয়ের নাম নিও। তাহলে, সেই সমাজকে জিজ্ঞেস করুন, কুর’আনের ২৪:৩২ আয়াতটি নিয়ে তোমার ‘তাফসীর’ কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের সবচেয়ে আদরের মেয়ে ফাতিমাকে (রাঃ) একজন অভাবগ্রস্তের হাতে তুলে দিয়েছেন, এটার ব্যাখ্যা কী? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রিয় সাহাবী যুলাইবিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু), যার হাতে কানাকড়ি ছিলো না, তাঁর জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, এটার ব্যাখ্যা কী?
সমাজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ হবার পরও যদি আপনি সমাজের সাথে সুর মিলিয়ে চলেন, তাহলে আপনাকে আরো দুটো কথা বলে আমি লেখাটি শেষ করছি।
যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পরও বিয়ে করতে পারছেন না, তাদেরকে যে ক্যাটাগরিতে রাখা যায় তারা রোজা রেখে সংযম করছেন,
যদি সিক্স ডিজিট স্যালারির কোনো সফল পুরুষকে বিয়ে করেন তাহলে শুধু এই প্রাপ্তির জন্যই আপনাকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে। প্রথম ত্যাগ করতে হবে আপনার প্রিয় কিছু স্বপ্নকে।
লাখ টাকা বেতন প্রাপ্ত সফল মানুষটাকে ছাত্রাবস্থায় প্রচুর পড়তে হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেবিলে বসে থাকতে হয়েছে। মাসের পর মাস রাত জাগতে হয়েছে। ফলে তার চোখের নিচে থাকবে স্থায়ী কালশিটা, চোখে থাকবে মোটা ফ্রেমের চশমা। মাথার অর্ধেক হবে টাক এবং দেখার মতো একটা ভুঁড়ি থাকবেই থাকবে।
আপনি একই সঙ্গে স্পাইক চুল, সিক্স প্যাক ফিগার, স্টাইলিশ সানগ্লাস আর ডানাকাটা চোখের অধিকারী কোনো সিক্স ডিজিট আর্নড পারসন পাবেন না।
সিক্স ডিজিট আর্নড পুরুষ দারুণ সচেতন হবে। সে কবির সিংয়ের মতো বাইক চালানোর সময় কিংবা গাড়ি চালানোর সময় তিন মিনিটের চুমুর আনন্দের চেয়ে তিন যুগ বেঁচে থাকার আনন্দকে প্রাধান্য দেবে। ফলে আপনার মনে হতে পারে, দুনিয়ার আনরোম্যানটিক মানুষকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। আপনি ভুল মানুষের সাথে আছেন।
তার অবশ্যই সকালে অফিস থাকবে। ফলে বৃষ্টি দেখে ছাদে চলে যাওয়া কিংবা ব্যালকনিতে বসে পূর্ণিমা উদযাপনের চেয়ে রাতে নিত্যদিনের কাজটা সেরে ফ্রেশ একটা ঘুম দিয়ে রিল্যাক্স মুডে অফিসে যাওয়াটা
জরুরি মনে হবে। ফলে আপনার মনে হবে আপনি শুধুই ভোগের বস্তু। উপভোগ বলে কিছু নেই আপনার জীবনে।
লাঞ্চ টাইমে তার মিটিং থাকবে। মিটিং হবে জুনিয়র কিংবা সিনিয়র কলিগদের সাথে। যাদের সামনে তাকে পারসোনালিটি বজায় রাখতে হয়। ফলে দুপুরে ফোন দিয়ে ‘কী খেয়েছো’ জিজ্ঞেস করলে সে চেয়ারে হেলান দিয়ে আহ্লাদে গদগদ হয়ে বলবে না, কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ খেয়েছি। সে ডানে বামে তাকিয়ে বলবে- রাখো, পরে কথা বলছি। মিটিং শেষে তাকে এমন সব কাজ করতে হবে যে বেশিরভাগ দিন পরে আর কথা বলা হয়ে উঠবে না।
সিক্স ডিজিট স্যালারির পারসনকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সারাদিন এক গাদা স্টাফকে পরিচালনা করতে হয়। কিংবা পরিচালিত হতে হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারা। ফলে বাসায় ফিরবে সে মেজাজ খারাপ নিয়ে। এমন সময়ে তুমি যদি মুনমুন মুখার্জির মতো দুনিয়ার আবেগ তাহেরির মতো ঢেলে দিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’ আবৃত্তি শুরু করো, সে গলায় সেক্স অ্যাপিল এনে বলতে পারবে না ‘ভালোবাসি তোওওও ভালোবাসিইইই’। সে একটু বিরক্তই হবে।
আপনি একইসাথে গ্রামের নির্মল বায়ু আর শহরের সুযোগসুবিধা পাবেন না। আপনাকে যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে। হয় অর্থ-বিত্ত নয়তো স্বস্তির জীবন। হয় ভোগ নয়তো উপভোগ। আপনি যেটাকে প্রাধান্য দেবে সেটা নিয়ে সুখে থাকেন। অন্যটা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে যাবেন না। তাহলে দেখবেন জীবনে মরীচিকা ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই।
অতএব, ইমোশনালি প্র্যাক্টিক্যাল হবেন না, প্র্যাক্টিক্যালি ইমোশনাল হোন।
মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০
কেমন হবে শিশুদের সাথে আপনার আমার ব্যবহার
একটি শিশুর কাছে বাবা রিয়েল হিরো মা সবচেয়ে ভরসার জায়গা। শিশুটির বিশ্বাস তার বাবা মা কখনো ভুল করে না। তারা যা বলেন করেন এবং ভাবেন সব সঠিক। শুভ্র ও সুন্দর হয় শিশুদের মন । আর খুব স্বাভাবিক ভাবে শিশুরা খুব অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে সেই সাথে প্রিয়জনের কাছ থেকে শেখা বিষয়গুলো তারা মনেও রাখে বেশি। একটি শিশুকে পূর্ণভাবে গড়ে তোলার জন্য মা-বাবার ভূমিকাই প্রধান। তার হাঁটাচলা থেকে শুরু করে কথা বলা,নিয়মানুবর্তিতা, পড়াশুনা, ঘরের টুকিটাকি কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের উৎসাহ তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। শিশুর সঙ্গে আপনি কেমন ব্যবহার করবেন? মনে রাখবেন আপনার আচরণের ওপর নির্ভর করে আপনার সন্তানের ভবিষ্যত। কখনো কখনো দায়িত্বশীল মা বাবাও এ ব্যাপারে ভুল করে থাকে।তাদের ভুলের জন্য নষ্ট হতে পারে তাদের সন্তানের জীবন।
"ছোট্ট ওরা চপল শিশু
ভোরের প্রতিচ্ছবি
সবুজ মনের অবুঝ শিশু
অই আকাশের রবি"
'গড়তে শিশুর ভবিষ্যৎ স্কুল হবে নিরাপদ'এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৮ এর দ্বিতীয় দিনে সোমবার ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিশুদের নিয়ে সেশন।
"আমার কথা শোনো"
প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মাহমুদা শারমিন বলেন, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে মা-বাবা এবং শিক্ষকের ভূমিকা অনেক শিশুদের সামনে ধূমপান ও মাদক দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।পাশাপাশি টিভিতে শিশুদের নিয়ে সিরিয়াল না দেখে তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সাহায্য করে এমন অনুষ্ঠান দেখা উচিত।
#শিশুর সুন্দর আচার-আচরণ গঠনের মূল ভূমিকা পালন করে পরিবার। আর এই ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের 'শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক'বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রুমানা বাসর।
তিনি বলেন, 'শিশুকে সুন্দর আচরণ শেখাতে হলে তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হবে'। পরিবার থেকেই শেখাতে হবে বড়দের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয় আর ছোটদের কিভাবে ভালবাসতে হয়।তাছাড়া শিশুরা একটু বড় হলেই বাইরের অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করে। ফলে তাদের আচার আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে । যদি বুঝতে পারেন শিশু খারাপ কিছু শিখছে তাহলে তাকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
#প্রথমেই, শিশুকে বাধ্য হয়ে চলার শিক্ষা দিতে হবে।
#বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের ভালোবাসার শিক্ষা দিতে হবে। এসব বিষয় সম্পর্কে উপদেশের মতো শিক্ষা না দিয়ে বাস্তবে করে দেখাতে হবে।
যেমন-আপনি নিজে বড়দের প্রতি বাধ্যও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে এবং ছোটদেরকে ভালোবেসে আপনার সন্তানের কাছে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরুন। এতে শিশু তা খুব সহজেই গ্রহণ করবে।
#শিশুর সঙ্গে সব সময় সত্য কথা বলুন তাকে সত্য বলতে উৎসহিত করুন।কোন ভুল করে যদি সে স্বীকার করে তাহলে কড়া শাসন না করে বুঝিয়ে বলুন ও ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করে সে বিষয়ে সাবধান করে দিন।
#শিশুরা কোন ভুল করলে তাদেরকে প্রথমে বোঝাতে হবে। ওই জন্য পরে বকা দিতে পারেন। তবে বকা দেওয়ার সময় শিশুকে কোন রকমের আজেবাজে বা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়।
#শিশুর সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করুন তাহলে সে আপনার কাছ থেকে কোনো কিছু লুকাবে না। এবং সকল কথাই সে সাদরে গ্রহণ করবে।
#বাসায় অতিথি এলে শিশুকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে ও সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। এতে ছোট থেকেই তার মধ্যে সামাজিকতার বোধ জেগে উঠবে।
#দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিন কেবল শিশুর জন্য। এই সময় অন্য কোন কাজ না করে তার সঙ্গে সময় কাটান। তার সঙ্গে গল্প করুন, আনন্দ করুন, মোটকথা সম্পূর্ণ মনোযোগ তার দিকে দিন।ফলে সে বুঝবে আপনার কাছে তার গুরুত্ব আছে। তখন সে আপনার প্রতিটি কথা ও মানসিক অবস্থার গুরুত্ব দেবে। শিশুকে মানুষের মত মানুষ করে তুলতে তার সুন্দর ব্যবহার ও সৎ চরিত্র বিকাশে সহায়তা করা উচিত। এতে শিশু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সময়ে ও বিপথগামী হবে না। তাই শিশুর সঠিক বিকাশে ছোট থেকেই সহায়তা করা উচিত বলে মনে করেন, এই অধ্যাপক
#শিশুকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করুন:
আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে আপনার শিশুর মধ্যে ব্যক্তিত্ব আনুন। মুখ গোমরা করে রাখা, অন্যর সঙ্গে ঝগড়া করা, অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো প্রভূতি বাজে অভ্যাস থেকে তাকে বিরত রাখুন। সে কোন কাজে ভুল করলে তা ধরিয়ে দিয়ে কিভাবে সংশোধন করতে পারে তা শেখান। সমবয়সীদের সঙ্গে 'হ্যালো'বলে শুভেচ্ছা বিনিময়, বয়স্কদের সঙ্গে সালাম দেয়া, ভুল করলে 'দুঃখিত' বলে দুঃখ প্রকাশ করা প্রভূতি আদব-কায়দা তাকে শিখিয়ে দিন। পোশাকের পরিচ্ছন্নতার সম্পর্কে তাকে সচেতন করুন। তার সোয়া, উঠা-বসা কেমন হবে তাকে তা শেখান।
#শিশুকে সহনশীল হতে সেখান:
আপনার স্কুল পড়ুয়া ছেলে আপনাকে এসে বলল, তার বন্ধু তাকে মেরেছে, আপনি সে ক্ষেত্রে বলতে পারেন। তুমি নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছ যা তাকে প্ররোচিত করে তুলেছিল তোমাকে মারতে। আপনার শিশুকে আপনি সহনশীল হতে শেখান। সে যদি কারও সঙ্গে অসদাচরণ করে তাকে তা বোঝান। তাকে সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে বলুন।তার কাছ থেকে যেন অন্যরা শিখতে পারে সে ব্যাপারে তাকে জ্ঞান দিন। আপনার সমর্থন আপনার সন্তানদের শান্ত রাখবে। যখন তারা জানবে আপনি তাদের পাশে আছেন, তারা চমৎকার অনুভূতি অনুভব করবে।
আগের দিনের একটি কথা প্রায়ই শোনা যেত," বাবা ভালো যার ছেলে ভালো তার, মা ভালো তার ঝি , গাই ভালো যার দুধ ভালো তার দুধ ভালো তার ঘি,
বাবা মা যেমন হবে সন্তান ঠিক তেমনি হবে প্রোডাকশন অফ হাউস।আসুন না ভালো কিছু অভ্যাস এর মাধ্যমে নিজেকে একটু পরিবর্তন করে সন্তানদের কাছে তাদের আইডল হিসেবে পরিচিত হই।