আমাদের দেশের কিছু অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। শুরু হয়েছে গরমে শরীর ঘামা। বেশি ঘাম হলে ঘামের সাথে লবণ পানি বের হয়ে হতে পারে ডিহাইড্রেশন। গরম লাগলেই মন আপনা থেকেই চলে যায় ঠাণ্ডা পানীয়, শরবত ও আইসক্রিমের দিকে। কিন্তু এর চেয়েও স্বাস্থ্যকর এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা শরীর রাখে ঠান্ডা।
১. তরমুজ
গরমের অন্যতম একটি রসালো ফল হল তরমুজ। তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই পানি। এই ফলে আরও আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’। তরমুজে সিট্রুলাইন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড আর্জিনিনে রূপান্তরিত হয়, এই আর্জিনিন হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২. আম
আমকে বলা হয় ফলের রাজা। ফলের রাজাকে বাদ দিয়ে গরমকালের খাওয়া-দাওয়া সম্ভব নয়। আমের মধ্যেও ৮৩% জল আছে । পাকা আমের আঁশে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা হজমে সহায়তা করে থাকে। কাঁচাআমের ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কনিকা গঠনে সাহায্য করে।
৩. শসা
শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়। নিয়মিত পানি পানের কথা ভুলে গেলেও প্রতিদিন শসা খাওয়া হতে পারে উপকারী। এর ঠাণ্ডা ও আর্দ্র রাখার উপাদান মলিন ও শুষ্ক ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে।
৪. লেবুর শরবত
দেহে পানির সঠিক পরিমাণ বজায় রাখতেও রয়েছে লেবুর কার্যদকারিতা। লেবুর শরবত সহজলভ্য একটি পানীয়। লেবুর শরবত দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এটি একটি ভালো ইলেক্ট্রোলাইট এবং এটি আমাদের শরীর জুড়ে স্নায়ু এবং মাংসপেশির মধ্যে তড়িৎ সংযোগ সাধনে ভূমিকা রাখে।
৫. দই
গরমের খাবার হিসেবে দইও ভালো খাবার। বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায় যেমন মাঠা, লাবাং । দইয়ের ৮৫ শতাংশ পানি আপনার শরীরকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এটি শুধু শরীর আর্দ্র রাখে তা নয়। এটি খাবার হজম করাতেও সাহায্য করে।
যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন তারা এই গরমে সজাগ হোন পথ্য ও পুষ্টির ব্যাপারে। বাহিরের খোলা জায়গার পানি, শরবত, আখের রস, পরিহার করা, এগুলো গ্রহণের ফলে সৃষ্ট ডায়রিয়া, আমাশয়, আপনার আর্থিক ব্যায় বৃদ্ধির সাথে সাথে মৃত্যু ঝুঁকিও বহন করে। গ্রীষ্মে শরীর শীতল রাখতে নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি পান করা, ঘরের তৈরী শরবত, পানি জাতিয় শাক সবজি ও ফল বেশী খাওয়া।