প্রোস্টেট ক্যান্সার কি?
পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারকেই প্রস্টেট ক্যান্সার বলে। শুধুমাত্র পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান। মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়েছে সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি বিদ্যমান। প্রস্টেট গ্রন্থির মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা। যৌনকর্মের সময় যে বীর্য স্খলিত হয় সেটি আসলে শুক্রাণু এবং এই তরল পদার্থের মিশ্রণ।
সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রোস্টেট ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী রোগ। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে ৩০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু ঘটে।
প্রাথমিক পর্যায় প্রস্টেট ক্যানস্যারকে চিহ্নিত করা যায় না। কারণ হাড় বা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত এর কোনও চোখে পড়ার মতো লক্ষণ দেখা পাওয়া খুব কঠিন।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ
প্রোস্টেট ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে কতগুলো বিষয় লক্ষ করা গেছে যেগুলো প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলোকে বিপদের কারণ হিসেবে মনে করা হয়। প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ
=>বয়স বাড়লে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
=> পারিবারিক ইতিহাসএ প্রোস্টেট ক্যান্সার থাকলে।
=>কিছু জেনেটিক কারণকেও দায়ী করা হচ্ছে।
=>প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ রোগের চিকিৎসা না করা।
=>অতিরিক্ত চর্বি ও আমিষ খাবারের সংযোজন।
=>সিগারেট, তামাক সেবন।
=>পুরুষ হরমোন (টেস্টোস্টেরনের) উপস্থিতি।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ
প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকদিন পর্যন্ত লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় না । ধীরগতি হওয়ার কারণে কয়েক বছর পর্যন্ত এর লক্ষন অনুভব নাও হতে পারে । প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসকের কাছে হাড়ে ব্যথা নিয়ে আসে। তখন চিকিৎসক পরীক্ষায় এক্সরে করতে দিলে সেখানে হাড়ক্ষয় দেখা যায়।
=>প্রস্রাবের বা বীর্যের সাথে রক্ত যাওয়া
=>প্রস্রাবের বেগ অসম্পূর্ণ অনুভূত হওয়া
=>প্রস্রাবের ধারা যদি ধীর হয়ে যাওয়া
=>মলদ্বারে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হওয়া
=>অন্ত্র বা মূত্রাশয়ে নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া।
=>অপ্রচলিত হারে ওজন হ্রাস পাওয়া।
=>পায়ে ফোলাভাব, দুর্বলতা অথবা পায়ে অসাড়তা।