পৃথিবীর
মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং মধুর সম্পর্ক
গুলোর মধ্যে সন্তান ও বাবা মায়ের
সম্পর্ক গুলো অন্যতম। যেখানে
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা
থাকে নিখাদ ও স্বার্থহীন। অপরদিকে
বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসায় থাকে গভীর শ্রদ্ধা
ও কৃতজ্ঞতা। একটি শিশু জন্ম
নেয় পরিবারে আর তাই পরিবারই
হয়ে ওঠে শিশুটির সবচেয়ে
আপন ভুবন। শুভ্র সুন্দর
ও নরম হয় শিশুদের
মন ।আর খুব স্বাভাবিক
ভাবে ই শিশুরা খুব
অনুকরণ প্রিয় ও হয়ে থাকে।
সেই সাথে প্রিয়জনের কাছ
থেকে শেখা বিষয় গুলো
তারা মনে ও রাখে
বেশি।
মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং মধুর সম্পর্ক
গুলোর মধ্যে সন্তান ও বাবা মায়ের
সম্পর্ক গুলো অন্যতম। যেখানে
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের ভালোবাসা
থাকে নিখাদ ও স্বার্থহীন। অপরদিকে
বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসায় থাকে গভীর শ্রদ্ধা
ও কৃতজ্ঞতা। একটি শিশু জন্ম
নেয় পরিবারে আর তাই পরিবারই
হয়ে ওঠে শিশুটির সবচেয়ে
আপন ভুবন। শুভ্র সুন্দর
ও নরম হয় শিশুদের
মন ।আর খুব স্বাভাবিক
ভাবে ই শিশুরা খুব
অনুকরণ প্রিয় ও হয়ে থাকে।
সেই সাথে প্রিয়জনের কাছ
থেকে শেখা বিষয় গুলো
তারা মনে ও রাখে
বেশি।
আগের
দিনে আদর্শ সন্তান বলে একটা কথা
প্রায়ই শোনা যেত কিন্তু
আদর্শ বাবা মা বলতে
তেমন কিছু ই শোনা
যায় নি। তবে এই
কথাটা অনেকের কাছে একটু অন্যরকম
মনে হলেও কথাটার গভীরতা
অনেক বেশি। কেননা সন্তান কে আদর্শবান হিসেবে
দেখতে চাইলে আগে বাবা মা
কে নিজের আদর্শ গুলো প্রদর্শন করতে
হবে সন্তানের সামনে।
দিনে আদর্শ সন্তান বলে একটা কথা
প্রায়ই শোনা যেত কিন্তু
আদর্শ বাবা মা বলতে
তেমন কিছু ই শোনা
যায় নি। তবে এই
কথাটা অনেকের কাছে একটু অন্যরকম
মনে হলেও কথাটার গভীরতা
অনেক বেশি। কেননা সন্তান কে আদর্শবান হিসেবে
দেখতে চাইলে আগে বাবা মা
কে নিজের আদর্শ গুলো প্রদর্শন করতে
হবে সন্তানের সামনে।
বাবা
মায়ের সাথে কেমন সম্পর্ক
চাই সবাই??
মায়ের সাথে কেমন সম্পর্ক
চাই সবাই??
এমন
প্রশ্নের ভিত্তিতে পাওয়া বেশিভাগ কিশোর কিশোরী মতামত থেকে যে বিষয়গুলো
উঠে এসেছে।
প্রশ্নের ভিত্তিতে পাওয়া বেশিভাগ কিশোর কিশোরী মতামত থেকে যে বিষয়গুলো
উঠে এসেছে।
- বন্ধুত্ব
সম্পর্ক:
বাবা
মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক
হওয়া উচিত বন্ধুত্বপূর্ণ। কারণ
প্রতিটি মানুষ তার বন্ধুর সাথে
প্রায় সব কিছু শেয়ার
করে। এজন্য বাবা মা কে
সন্তানের সাথে এমনভাবে মিশতে
হবে যেন সন্তান বাবা
মা কে বন্ধু ভাবতে
পারে।
মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক
হওয়া উচিত বন্ধুত্বপূর্ণ। কারণ
প্রতিটি মানুষ তার বন্ধুর সাথে
প্রায় সব কিছু শেয়ার
করে। এজন্য বাবা মা কে
সন্তানের সাথে এমনভাবে মিশতে
হবে যেন সন্তান বাবা
মা কে বন্ধু ভাবতে
পারে।
- শ্রদ্ধাবোধপূর্ণ
সম্পর্ক:
তুমি
কারো থেকে শ্রদ্ধা আশা
করলে তার আগে ই
তা প্রদর্শন কর! এ রকম
একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে আগে থেকেই।
সন্তানের সাথে বাবা মায়ের
এরকম একটা সম্পর্ক থাকা
জরুরি। কেননা শ্রদ্ধাবোধহীন সম্পর্ক দ্রুত ফাটল ধরে। তাছাড়া
মানুষ বেশি বিশ্বাস করে
তাকেই যে তার শ্রদ্ধার
পাত্র হয়। অনেক সময়
ভয় থেকে শিশুরা সত্যি
কথা বলতে পারে না
কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ থাকলে সেখানে ভয় থাকে না
সম্মান থাকে একে অপরের
জন্য।শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে
শুনে তাদের সমস্যা গুলো বুঝতে চেষ্টা
করতে হবে পাশাপাশি মত
প্রকাশের স্বাধীনতা ও দিতে হবে
শিশুদের এই আচরণ শিশুর
ভবিষ্যৎ ব্যত্তিত্ব গঠনে সহায়ক।
কারো থেকে শ্রদ্ধা আশা
করলে তার আগে ই
তা প্রদর্শন কর! এ রকম
একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে আগে থেকেই।
সন্তানের সাথে বাবা মায়ের
এরকম একটা সম্পর্ক থাকা
জরুরি। কেননা শ্রদ্ধাবোধহীন সম্পর্ক দ্রুত ফাটল ধরে। তাছাড়া
মানুষ বেশি বিশ্বাস করে
তাকেই যে তার শ্রদ্ধার
পাত্র হয়। অনেক সময়
ভয় থেকে শিশুরা সত্যি
কথা বলতে পারে না
কিন্তু শ্রদ্ধাবোধ থাকলে সেখানে ভয় থাকে না
সম্মান থাকে একে অপরের
জন্য।শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে
শুনে তাদের সমস্যা গুলো বুঝতে চেষ্টা
করতে হবে পাশাপাশি মত
প্রকাশের স্বাধীনতা ও দিতে হবে
শিশুদের এই আচরণ শিশুর
ভবিষ্যৎ ব্যত্তিত্ব গঠনে সহায়ক।
- সমতা:
অনেক
পরিবারই দেখা যায় পরিবারের
বড় অথবা ছোট সন্তানটি
কে বেশি স্নেহ প্রদান
করা হয় ।আবার অনেক
ফ্যামিলি আছে মেয়ের থেকে
ছেলেকে বেশি প্রাধান্য দেয়
পরিবারই দেখা যায় পরিবারের
বড় অথবা ছোট সন্তানটি
কে বেশি স্নেহ প্রদান
করা হয় ।আবার অনেক
ফ্যামিলি আছে মেয়ের থেকে
ছেলেকে বেশি প্রাধান্য দেয়
বেশি
। ছেলে শিশুর প্রতি
নজর বেশি দেয়া হয়
মেয়ে শিশুর প্রতি কম দেয়া হয়
।এতে করে মেয়ে শিশুর
মনে আঘাত হানতে পারে
নিজেকে ছোট মনে হতে
পারে এতে করে শিশুর
মনে বাবা মায়ের প্রতি
দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য বাবা
মায়ের পরিবারের সদস্যদের এ ধরনের আচরণ
থেকে বিরত থেকে সব
সন্তানের প্রতি সমান নজর দেয়া
উচিত।
। ছেলে শিশুর প্রতি
নজর বেশি দেয়া হয়
মেয়ে শিশুর প্রতি কম দেয়া হয়
।এতে করে মেয়ে শিশুর
মনে আঘাত হানতে পারে
নিজেকে ছোট মনে হতে
পারে এতে করে শিশুর
মনে বাবা মায়ের প্রতি
দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য বাবা
মায়ের পরিবারের সদস্যদের এ ধরনের আচরণ
থেকে বিরত থেকে সব
সন্তানের প্রতি সমান নজর দেয়া
উচিত।
#একসাথে
সময় বের করা:
সময় বের করা:
সন্তানকে
যথেষ্ট সময় দিতে হবে
বাবা–মাকে তাতে করে
উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তা বাড়াবে তৈরি হবে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক। শত ব্যস্ততার মাঝেও
প্রতিদিন সন্তানদের নিয়ে একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সকালে না পারলেও অন্তত
রাতে একসাথে খেতে বসুন ।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারের
সবাই বসে খাবার খেলে
সন্তানদের মধ্য ইতিবাচক শক্তিশালী
মানসিকতা , উন্নত আচরণ, সামাজিক দক্ষতা ও একাডেমি কর্ম
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
যথেষ্ট সময় দিতে হবে
বাবা–মাকে তাতে করে
উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তা বাড়াবে তৈরি হবে বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক। শত ব্যস্ততার মাঝেও
প্রতিদিন সন্তানদের নিয়ে একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সকালে না পারলেও অন্তত
রাতে একসাথে খেতে বসুন ।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবারের
সবাই বসে খাবার খেলে
সন্তানদের মধ্য ইতিবাচক শক্তিশালী
মানসিকতা , উন্নত আচরণ, সামাজিক দক্ষতা ও একাডেমি কর্ম
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ভালো
শ্রোতা ও উপদেশ দাতা:
যে মন দিয়ে শুনে
বা বুঝে অধিকাংশ মানুষ
তার সাথেই মনের কথা শেয়ার
করে। সুতরাং সন্তানের কথা মন দিয়ে
শোনার মত মানসিকতা থাকতে
হবে। উপদেশ দেয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল
রাখতে হবে জানো সেটা
বোধগম্য ও সঠিক হয়।
বা বুঝে অধিকাংশ মানুষ
তার সাথেই মনের কথা শেয়ার
করে। সুতরাং সন্তানের কথা মন দিয়ে
শোনার মত মানসিকতা থাকতে
হবে। উপদেশ দেয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল
রাখতে হবে জানো সেটা
বোধগম্য ও সঠিক হয়।
- ভুল
গুলো সঠিকভাবে শোধরানো:
অনেক
সময় সন্তানদের ভুলগুলো বাবা মায়েরা প্রহার
করেন যা সন্তানদের মনে
খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সন্তানের ভুলের জন্য তাদের প্রহার
না করে সঠিকভাবে বুঝিয়ে
তাদের ভুলগুলো শুধরাতে হবে।
সময় সন্তানদের ভুলগুলো বাবা মায়েরা প্রহার
করেন যা সন্তানদের মনে
খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। সন্তানের ভুলের জন্য তাদের প্রহার
না করে সঠিকভাবে বুঝিয়ে
তাদের ভুলগুলো শুধরাতে হবে।
- বিশ্বাস
রাখতে হবে সন্তানের প্রতি:
বাবা–মায়ের কাছ থেকে বিশ্বাস
পেলে সন্তানদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সন্তানের সাথে বাবা মায়ের
সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভালোবাসার
কোনো বিকল্প নেই। এ পৃথিবীতে
ভালোবাসা ছাড়া সবই মূল্যহীন। তাছাড়া
বাবা–মায়ের কাছ থেকে স্বাধীনতা
পাওয়াটা ও খুব প্রয়োজনীয়।
তবে সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা
থাকতে পারে। আর এভাবেই আপনাদের
সম্পর্কটা হয়ে উঠবে মজবুত।
পেলে সন্তানদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সন্তানের সাথে বাবা মায়ের
সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভালোবাসার
কোনো বিকল্প নেই। এ পৃথিবীতে
ভালোবাসা ছাড়া সবই মূল্যহীন। তাছাড়া
বাবা–মায়ের কাছ থেকে স্বাধীনতা
পাওয়াটা ও খুব প্রয়োজনীয়।
তবে সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা
থাকতে পারে। আর এভাবেই আপনাদের
সম্পর্কটা হয়ে উঠবে মজবুত।
মাত্র
কয়েকটি অভ্যাস পাল্টানোর ফলে যদি সন্তানদের
সাথে একটা ভালো সম্পর্ক
তৈরি করতে পারেন। তাহলে
তা হবে অর্থকড়ির চাইতেও
অনেক বেশি মূল্যবান। আমাদের
কারোরই কোনো সুপার পাওয়ার
নেই কিন্তু নিজের সন্তানের কাছে কেনা হতে
চায় সুপার ড্যাড কিংবা সুপার মম? আসুন না
ভালো কিছু অভ্যাস এর
মাধ্যমে নিজেকে একটু পরিবর্তন করে
সন্তানের কাছে তাদের আইডল
হিসেবে পরিচিত হই! নিজের সন্তানদের
কাছে নিজেকে পরিচিত করি পৃথিবীর সেরা
বাবা কিংবা মা হিসেবে।
কয়েকটি অভ্যাস পাল্টানোর ফলে যদি সন্তানদের
সাথে একটা ভালো সম্পর্ক
তৈরি করতে পারেন। তাহলে
তা হবে অর্থকড়ির চাইতেও
অনেক বেশি মূল্যবান। আমাদের
কারোরই কোনো সুপার পাওয়ার
নেই কিন্তু নিজের সন্তানের কাছে কেনা হতে
চায় সুপার ড্যাড কিংবা সুপার মম? আসুন না
ভালো কিছু অভ্যাস এর
মাধ্যমে নিজেকে একটু পরিবর্তন করে
সন্তানের কাছে তাদের আইডল
হিসেবে পরিচিত হই! নিজের সন্তানদের
কাছে নিজেকে পরিচিত করি পৃথিবীর সেরা
বাবা কিংবা মা হিসেবে।
অনেক ভাল আইডিয়া সুপার লেগেছে
অনেক গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়কে খুব সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছো। মা বাবা ও সন্তান উভয় পক্ষের সামাজিকিকরণ দায়ীত্ব বোধ সম্পর্কে চমৎকার লিখনি। তোমার বোধগম্যময় সুগভীর চিন্তন এর জন্য তারিফ করছি। দুআ রইলো আপু….