ডায়াবেটিস এর কারণে রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ফলে রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এতে করে দেহের কোষগুলো প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।
ডায়াবেটিসের প্রকারঃ
ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের
১। টাইপ–১ ডায়াবেটিস
২। টাইপ–২ ডায়াবেটিস
টাইপ–১ ডায়াবেটিসঃ টাইপ–১ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে কিছু কারণে, ইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উতপাদনকারী বিটা কোষকে আক্রমণক করে এবং ধ্বংস করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। শিশুকাল থেকেই ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকে অথবা মোটেও থাকে না তারাই টাইপ –১ ডায়াবেটিসের রোগী।
টাইপ–২ ডায়াবেটিসঃ টাইপ–২ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে রক্তে থাকা গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়তে থাকে, যার ফলে ব্লাড সুগার স্বাভাবিক থাকেনা। টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে প্রাপ্তবয়স্ককালীন ডায়াবেটিস বলা হয় কারণ মূলত বয়স্ক লোকেরাই এই রোগে আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ৯০–৯৫% লোকের টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে।
ডায়াবেটিস এর কারনঃ
বিভিন্ন কারনে ডায়াবেটিস হতে পারে। যথা–
Ø জিনগত রোগের কারণে কম ইনসুলিন তৈরী হলে ডায়াবেটিস হয়
Ø ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে ডায়াবেটিস হয়।
Ø বৃদ্ধ হওয়ার কারণে এবং ডায়েটিং না করার কারণেও এটি ঘটতে পারে।
Ø শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বা ব্যায়াম না করলে ডায়াবেটিস হয়
Ø অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
Ø বেশি চিন্তাগ্রস্থ থাকলে, অতিরিক্ত চাপে থাকার কারণে ডায়াবেটিস হয়
Ø অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপানের কারণে ডায়াবেটিস হয়।
Ø ফাস্টফুড, চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমানে গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস হয়।
ডায়াবেটিস এর লক্ষণঃ
Øঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে কিটোনের উপস্থিতি।
Øঘন ঘন তেষ্টা পাওয়া।
Øখুব দ্রুত খিদে বৃদ্ধি পায়, একে পলিফাগিয়া বলে।
Øপ্রচণ্ড পরিশ্রান্ত বা ক্লান্তি অনুভব করা।
Øদৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
Øশরীরের বিভিন্ন অংশের কাটাছেঁড়া সহজে সারে না।
Øখাওয়া সত্তে¡ও ওজন কমে যাওয়া।
Øহাতে–পায়ে ব্যথা বা মাঝে মাঝে অবশ হয়ে যাওয়া।
Øচামড়া লাল লাল ফুসকুড়ি, চামড়ার সংক্রমণ।
Øচোখের লেন্সের তরল শুকিয়ে যাবে।